সৈয়দ শওকত হোসেন
ষ্টাফ রিপোর্টার (বাগেরহাট)
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম বলেছেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন ৫ থেকে ৬টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরেছে। বর্তমানে বাগেরহাট জেলা বিএনপিতে কোনো একক নেতৃত্ব নেই, এখন জেলা বিএনপি একটি খিচুড়ি মার্কা দলে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট সদর হয়রত খানজাহান আলী (রহ) দরগা মাঠে আয়োাজিত তাকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি শুধু বলতে চাই আপনারা যদি এত গ্রুপিং বহিষ্কার করেন তাহলে নির্বাচন করবেন কাকে নিয়ে। আগামীতে দিনের ভোট আর রাতে হবে না, বিভিন্ন দল অংশ গ্রহণ করবে। তাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এখনই দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যাদের রক্তের ওপর দিয়ে আজকের যে স্বাধীনতা আপনারা পেয়েছেন ছাত্র আন্দোলনে নিহত সেই সব শহীদদের স্মরণ করতে হবে। তাদের ভুলে গেলে চলবে না।
হাকিমপুর মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মাবুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন, সব্বর্ধনা আয়োজন কমিটির আহবায়ক জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তরিকুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আমিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী, সাবেক যুবদল নেতা শেখ মাহবুবুর রহমান টুটুল, মেহেবুবুল হক কিশোর,জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি আতিয়ার সরদার, সমাজসেবী রেহানা পারভীন, মহিলাদল নেত্রী মলি জাহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এম এ এইচ সেলিম নিজস্ব অর্থায়নে বাগেরহাটে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করবেন বলে ঘোষণা দেন ও ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত বাগেরহাটে ৬ শহীদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান করেন